লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় করোণা আক্রান্তের সংখ্যা। এবার পুরোপুরি লক ডাউন এর পথেই হাঁটল রাজ্য সরকার।
৯ই জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটা থেকে গোটা রাজ্যের কনটেইনমেন্ট ও বাফার জোন গুলিতে কড়া লক ডাউনের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ঐসব জোন গুলিতে বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস ,কারখানা এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।আগামী ১৪ দিন পর ওইসব জোন গুলিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত কি নেওয়া হবে, তা সরকারি নির্দেশিকা য় জানানো হবে। মঙ্গলবার সরকারি নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে কনটেইনমেন্ট জোন ও বাফার জোনের বাসিন্দাদের বাড়িতেই থাকতে হবে , একান্ত জরুরী কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবে না। একইভাবে অযথা কোনো বহিরাগত ঐ জোনে প্রবেশ করবে না। ঐ জোন গুলিতে সবরকম যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। কেবলমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান খোলা থাকবে। ওই জোন থেকে কেউ কোন অফিস যেতে বা কাজে যেতে পারবে না। এলাকায় কোনো রকম জমায়েত করা যাবে না।কন্টেইনমেন্ট ও বাফার জোন এলাকার বাসিন্দারা এই নির্দেশিকা অমান্য করলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয় কলকাতায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে ৩৩ করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় ২১৯ এবং হাওড়া ১৪৬ ,হুগলি ২৭ টি ,এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৫৩ টি কনটেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর মহকুমা য় সবচেয়ে বেশি কনটেইনমেন্ট জোন রাজপুর সোনারপুর পৌরসভা য় করা হয়েছে। তারপরেই আছে বারুইপুর পৌরসভা ,তবে জয়নগর-মজিলপুর পৌরসভায় কেবলমাত্র আট নম্বর ওয়ার্ডের ১১৫ ও ১১৬ নম্বর বুথ এ ই জোনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বুধবার সকালেই জয়নগর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুজিত সর্খেল তার পৌরসভার বিশেষ দল নিয়ে 8 নম্বর ওয়ার্ডের ১১৫ নম্বর বুথ ১১৬নম্বর বুথের বিভিন্ন জায়গা য় জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা নেন এবং ওই এলাকার মানুষদের সচেতন করেন।
বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটি ক্লিক করুন👇
বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটি ক্লিক করুন👇
No comments:
Post a Comment