Search This Blog

Followers

Wednesday, June 3, 2020

মাস্ক পরেই হল শুভ দৃষ্টি,অগ্নি সাক্ষী থেকে সিঁদুর দান।দেখুন - লক ডাউন বিবাহ উৎসব।

এভাবে বিয়ে?  স্বপ্নেও ভাবেননি ওরা। তবু মেনে নিতে হলো তরুণ যুগলকে। বিয়েতে হাজির গুটিকয়েক আত্মীয়। তবু তাই নিয়েই মন্দিরে নির্জনে বিয়ে হয়ে গেলো ওদের। ওরা মানে বর্ধমান শহরের অর্ণব সূত্রধর আর রায়নার গ্রামের তরুণী  শম্পা সাহা। সামাজিক বিয়ে হলেও আলাপ ছিল আগে থেকেই। বিয়ে নিয়ে আর পাঁচজনের মত স্বপ্ন ছিল ওদের মনে।।বিয়ে হবার কথা ছিল ১৭ এপ্রিল। কিন্তু এপ্রিলের  বসন্ত  পেরিয়ে জুনের বর্ষা আসন্ন। দফায় দফায় ওদের এক হতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে লক-ডাউন।  আবার পঞ্চম দফার লক-ডাউন আর নানা বিধি চালু হল। তাই বাধ্য হয়ে সর্বমঙ্গলা বাড়ির পাশে এক নির্জন মন্দিরে ওরা বিয়ে সারলেন। সঙ্গে মাত্র জনা সাতেক আত্মীয় সহ পুরোহিত।

সব ধর্মীয় রীতি মানা হলেও এ বিয়েতে কোনো আনন্দ নেই। সব কিছু যেন গ্রাস করেছে সর্বনাশা কোভিড।বিয়েতে সবার মুখে মাস্ক। মাস্ক পাত্রপাত্রীর মুখেও। এমনকি একটা ছবি রাখবেন স্মৃতি হিসেবে সে উপায়টুকুও নেই।তবু আর কোন ভরসা পাচ্ছিলেন না। কবে রোগের প্রকোপ কমবে কবেই বা সব স্বাভাবিক হবে জানেন না কেউই। তাই বাধ্য হয়ে দুই পরিবারের এই সিদ্ধান্ত। সাতজনকে সাক্ষী রেখেই নীরবে শুরু হল সাত পাকে বাঁধা শম্পা-অর্ণবের নতুন জীবন।
অর্ণব পেশায় মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ। তিনি বলেন অনুষ্ঠান করে বিয়ের জন্য সব আয়োজন সাড়া হয়ে গিয়েছিল। ক্যাটারিং বুক করা,বিয়েবাড়ি ভাড়া নেওয়া,সানাই সবই।বিয়ের কার্ড ছাপানোর পাশাপাশি আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধবদের আমন্ত্রণও জানানো হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সাতপাকে বাঁধ সাধলো মারণ কোভিড। লাগাতার শুরু হল লকডাউন। পিছিয়ে গেলো বিয়ের অনুষ্ঠান। 
কিন্তু শেষপর্যন্ত অনুষ্ঠানবাড়িতে নয়, বিয়ে হল নির্জন মন্দির চত্বরে। মন্দির কমিটির অনুমতির পাশাপাশি আগাম নেওয়া হয়েছিল পুলিশ পারমিশন। 

সদ্য সাতপাকে বাঁধা তরুণী শম্পারও মন খারাপ।তিনি বলেন বিয়ের আয়োজনের সবকিছু বাতিল করে এক প্রকার বাধ্য হয়েই এই ভাবে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হল।তবু শেষ পর্যন্ত বিয়েটা তো হল। এই আনন্দেই নবদম্পতি  মশগুল।

No comments:

১৮ ই আগষ্ট মালদায় পালিত হল স্বাধীনতা দিবস।

 ১৮ ই আগষ্ট মালদার স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ আগষ্টের ১৫ তারিখ ভারত স্বাধীন হলেও মালদা জেলা ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় ১৮ আগস্ট। এরপর থেকে প্রতিবছরই ১...