সব ধর্মীয় রীতি মানা হলেও এ বিয়েতে কোনো আনন্দ নেই। সব কিছু যেন গ্রাস করেছে সর্বনাশা কোভিড।বিয়েতে সবার মুখে মাস্ক। মাস্ক পাত্রপাত্রীর মুখেও। এমনকি একটা ছবি রাখবেন স্মৃতি হিসেবে সে উপায়টুকুও নেই।তবু আর কোন ভরসা পাচ্ছিলেন না। কবে রোগের প্রকোপ কমবে কবেই বা সব স্বাভাবিক হবে জানেন না কেউই। তাই বাধ্য হয়ে দুই পরিবারের এই সিদ্ধান্ত। সাতজনকে সাক্ষী রেখেই নীরবে শুরু হল সাত পাকে বাঁধা শম্পা-অর্ণবের নতুন জীবন।
অর্ণব পেশায় মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ। তিনি বলেন অনুষ্ঠান করে বিয়ের জন্য সব আয়োজন সাড়া হয়ে গিয়েছিল। ক্যাটারিং বুক করা,বিয়েবাড়ি ভাড়া নেওয়া,সানাই সবই।বিয়ের কার্ড ছাপানোর পাশাপাশি আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধবদের আমন্ত্রণও জানানো হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সাতপাকে বাঁধ সাধলো মারণ কোভিড। লাগাতার শুরু হল লকডাউন। পিছিয়ে গেলো বিয়ের অনুষ্ঠান।
কিন্তু শেষপর্যন্ত অনুষ্ঠানবাড়িতে নয়, বিয়ে হল নির্জন মন্দির চত্বরে। মন্দির কমিটির অনুমতির পাশাপাশি আগাম নেওয়া হয়েছিল পুলিশ পারমিশন।
সদ্য সাতপাকে বাঁধা তরুণী শম্পারও মন খারাপ।তিনি বলেন বিয়ের আয়োজনের সবকিছু বাতিল করে এক প্রকার বাধ্য হয়েই এই ভাবে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হল।তবু শেষ পর্যন্ত বিয়েটা তো হল। এই আনন্দেই নবদম্পতি মশগুল।
No comments:
Post a Comment