আলিপুরদুয়ার জেলার দক্ষিন খয়েরবাড়ি চিতা বাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্র কে মিনি জু তে রূপান্তরিত করতে চলেছে রাজ্য বনদফতর ۔। অনেকটা শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারির আদলে তৈরী হতে চলেছে এই মিনি জু ۔। জু অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার অনুমোদন ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে রাজ্য সরকারের কাছে।
۔ মোট তিনটি ধাপে আগামী তিন বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ۔প্রাথমিক ভাবে ৪২ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে রাজ্য সরকার ۔ এই প্রকল্প নিঃসন্দেহে প্রাণ সঞ্চার করবে ডুয়ার্সের পর্যটনে। এদিন দক্ষিন খয়েরবাড়িতে এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জী।
তিনি নাগরাকাটাতে একটি অনুষ্ঠানের পর দক্ষিন খয়েরবাড়ি আসেন।বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জী বলেন,দক্ষিন খয়েরবাড়ি একটি ভালো লেপার্ড রেসকিউ সেন্টার ছিল।যাতে পর্যটকদের আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু করা যায় তার জন্য চিন্তাভাবনা হচ্ছে।ডুয়ার্সে বহু পর্যটক আসেন।ডুয়ার্স নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ও প্রয়াস রয়েছে।জু অথরিটি অনুমোদন দিয়েছে।দক্ষিন খয়েরবাড়ি তে মিনি জু করা হবে।সেজন্যে জু অথরিটি অনুমোদন দিয়েছে।এখানে বাঘ,চিতাবাঘ,হরিন,বন্য কুকুর ইত্যাদি থাকবে। অন্য প্রজাতির জীবজন্তু ও থাকবে।কুমির, গন্ডার ও রাখার জন্য একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।অনুমোদন পেলে তা হবে।এখানকার ২৭ হেক্টর বিস্তৃত জায়গায় এ সব পরিকল্পনা রয়েছে।পর্যটক দের আকর্ষন যাতে করা যায় সে ব্যাপারে দেখা হচ্ছে।দক্ষিন খয়েরবাড়িতে লেপার্ড সাফারী ছিল।ব্যাটারী চালিত গাড়ি।বেঙল সাফারীর মত যাতে করা যায় সে জন্য চিন্তাভাবনা রয়েছে।
অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে বনমন্ত্রী রাজীব বাবু জানান,এখানে সিংহ ছাড়ার জন্য অনুমতি নিতে হবে।বাইরে থেকে আনতে হবে।একটা প্রস্তাব দেওয়া হবে।মোট ৪২ কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়েছে।দক্ষিন খয়েরবাড়িকে ঢেলে সাজানোর জন্য।পর্যটক টানতে সৌন্দ্যায়ন বাড়ানো হবে।পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে এটি জু হলে।তিন টি ধাপে তিন বছরে কাজটি শেষ হবে।