পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা আলহিলাল সেখ ব্যবসায়ীসূত্রে থাকেন চিনে।কিন্তু সীমান্ত পাড়ে উষ্ণতা বাড়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন আলহিলালের বাবা মা সহ গোটা পরিবার।
গত কয়েকদিনে ভারত চিন সীমান্তের লাদাখে দুই দেশের সেনাবাহিনীর সমাবেশ বেড়েছে। মঙ্গলবার চিনা সেনাবাহিনীর হামলা একজন কর্ণেল সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা শহীদ হয়েছেন।বরফে ঢাকা সীমান্তপাড়ে তাপ উত্তাপ বেড়েছে। বেড়েছে ভারি বুটের আনাগোনা।
পূর্ব বর্ধমানের নবীনগরে বাড়ি সেখ আলহিলালের।আলহিলাল প্রায় কুড়ি বছর ধরে চীনের সেনজেনে টেক্সটাইলের ব্যবসা করছেন। বিয়ের হওয়ার পর এখন সপরিবারেই সেনজেনে থাকেন।কিন্তু এখন সবাই আতঙ্কিত।
ঘন ঘন ভিডিও কল করে ছেলের সাথে কথা বলে আসস্থ্য হচ্ছেন আল হিলালের মা।
স্ত্রী নার্গিস পারভীন ও তের বছরের ছেলে আহান সেখ সকলেই দেশে ফিরতে চায়।প্রায় চার মাস দোকানপাট, ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ ছিল।লকডাউন জারি ছিল গোটা চিনে।কোভিডের সংক্রমণ কমতেই ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিক হচ্ছে। ছন্দে ফিরছে সেনজেনও।ট্রেন বাস চলছে। খুলেছে বিমানবন্দরও।
কিন্তু এরই মধ্যে চিন ভারতের লাদাখ সীমান্ত অসনি সংকেত। তৈরি হয়েছে যুদ্ধের আবহাওয়া। আর তাতেই ভয় ও আতঙ্ক বাড়ছে পরিবারে।
বাড়িতে আছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বাবা মহম্মদ জয়নাল আবেদিন , মা হালিমা বিবি ও ভাই। সকলেই চান ঘরের ছেলে তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরুক। তাঁরা বারে বারে সেনজেনে ফোন করে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। কি অবস্থা সেখানে, তাঁরা কি অবস্থায় আছে ঘন ঘন ফোন নবীনগরের বাড়ি থেকে বৃদ্ধ বাবা মার।
কোভিডের সংক্রমণ কমলেও সীমান্তে দুই দেশের পারদ চড়ায় শঙ্কিত একদিকে সেনজেনে থাকা আলহিলাল। ঠিক তেমনি আতঙ্কিত নবীনগরে আলহিলালের গোটা পরিবার।মা চাইছেন ছেলে দেশে ফিরুক।